Thursday, July 16, 2015

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে পিয়ারার অবদান ।

 















পেয়ারার মওসুম এখন। অনেকে একে বাংলাদেশের আপেল বলে থাকেন। অত্যন্ত লোভনীয় ফল এটি। কেবল বাংলাদেশেই নয়, পেয়ারা ব্যাপক জনপ্রিয় গোটা এশিয়ায়। সুস্বাদু এই ফলের চিকিৎসা গুণের জন্যই প্রচুর পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রুখতে পেয়ারার বিকল্পহয় না। আবার পেয়ারার পাতা রক্তচাপ, হৃদরোগে কাছে ঘেঁসতে দেয় না
পাঠকদের সঙ্গে দেখে নেয়া যাক পেয়ারা পেয়ারা পাতার উপকারিতাগুলো--
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন মিনারেল থাকে পেয়ারায়। বিশেষ করে ভিটামিন সি। অনেকের ধারণা লেবুতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন থাকে। কিন্তু বহু লোক জানেন না, একটি পেয়ারায় লেবুর চারগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধও পেয়ারা। পাতিলেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন থাকে পেয়ারায়। এছাড়াও পেয়ারায় থাকে ভিটামিন B2, ভিটামিন K এবং E শুধু ভিটামিনই নয়, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফেরাস, লোহা, তামা, ক্যালসিয়াম পটাশিয়ামের মতো প্রচুর খনিজও থাকে এই ফলে। পেয়ারার আরও একটি সুবিধে হলো, এই ফলের চাষ করতে রাসায়নিক প্রয়োজন হয় না। ফলে সব সময়ই খাঁটি। রোজ খাওয়ার পর দিনে একটি পেয়ারা খেতে পারলে ডায়াবেটিস ধরে না। ব্লাড সুগার নর্মাল করে দেয়
পেয়ারার মতোই সমান উপকারী পেয়ারা পাতা। এশিয়া ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকা মেক্সিকোয় প্রাচীন চিকিৎসায় পেয়ারা পাতার উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে পেয়ারা পাতার জুড়ি মেলা ভার। পরীক্ষায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতায় কিছু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, যা প্যাথোজেনস মেরে ফেলে। প্যাথোজেনস-এর জন্যই ডায়রিয়া হয়। একই সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে হার্ট ভালো রাখতেও সাহায্য করে পেয়ারা পাতার নির্যাস
সুতরাং পেয়ারা পেয়ারা পাতার নির্যাস নিয়মিত খেতে পারলে, রোগ নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না

                                                         সূত্র: ডেইলী নয়া দিগন্ত



No comments:

Post a Comment