Thursday, July 16, 2015

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে পিয়ারার অবদান ।

 















পেয়ারার মওসুম এখন। অনেকে একে বাংলাদেশের আপেল বলে থাকেন। অত্যন্ত লোভনীয় ফল এটি। কেবল বাংলাদেশেই নয়, পেয়ারা ব্যাপক জনপ্রিয় গোটা এশিয়ায়। সুস্বাদু এই ফলের চিকিৎসা গুণের জন্যই প্রচুর পেয়ারা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস রুখতে পেয়ারার বিকল্পহয় না। আবার পেয়ারার পাতা রক্তচাপ, হৃদরোগে কাছে ঘেঁসতে দেয় না
পাঠকদের সঙ্গে দেখে নেয়া যাক পেয়ারা পেয়ারা পাতার উপকারিতাগুলো--
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন মিনারেল থাকে পেয়ারায়। বিশেষ করে ভিটামিন সি। অনেকের ধারণা লেবুতে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন থাকে। কিন্তু বহু লোক জানেন না, একটি পেয়ারায় লেবুর চারগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধও পেয়ারা। পাতিলেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন থাকে পেয়ারায়। এছাড়াও পেয়ারায় থাকে ভিটামিন B2, ভিটামিন K এবং E শুধু ভিটামিনই নয়, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফেরাস, লোহা, তামা, ক্যালসিয়াম পটাশিয়ামের মতো প্রচুর খনিজও থাকে এই ফলে। পেয়ারার আরও একটি সুবিধে হলো, এই ফলের চাষ করতে রাসায়নিক প্রয়োজন হয় না। ফলে সব সময়ই খাঁটি। রোজ খাওয়ার পর দিনে একটি পেয়ারা খেতে পারলে ডায়াবেটিস ধরে না। ব্লাড সুগার নর্মাল করে দেয়
পেয়ারার মতোই সমান উপকারী পেয়ারা পাতা। এশিয়া ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকা মেক্সিকোয় প্রাচীন চিকিৎসায় পেয়ারা পাতার উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে পেয়ারা পাতার জুড়ি মেলা ভার। পরীক্ষায় দেখা গেছে, পেয়ারা পাতায় কিছু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে, যা প্যাথোজেনস মেরে ফেলে। প্যাথোজেনস-এর জন্যই ডায়রিয়া হয়। একই সঙ্গে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে হার্ট ভালো রাখতেও সাহায্য করে পেয়ারা পাতার নির্যাস
সুতরাং পেয়ারা পেয়ারা পাতার নির্যাস নিয়মিত খেতে পারলে, রোগ নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না

                                                         সূত্র: ডেইলী নয়া দিগন্ত



Wednesday, July 8, 2015

রাশি ফল নির্ণয়


আপনার রাশি নির্ণয় করার জন্য আপনাকে কোন জৈতিশির নিকট যেতে হবে না । আপনার রাশি আপনি নিজেই নির্ণয় করতে পারবেন । রাশি নির্ণয় করার নিয়ম নিচে বর্ণনা করা হলো :
যে ব্যক্তি যার রাশি নির্ণয় করবে প্রথমে তাকে তার এবং তার মায়ের নামের অক্ষরের মান বসিয়ে  যোগ করতে হবে । যোগফলকে ১২ ( বার ) দ্বারা ভাগ করিলে যাহা অবশিষ্ট থাকিবে  সেই অনুযায়ী তার রাশি বাহির হইবে। অর্থাৎ                             ১ (এক ) অবশিষ্ট থাকিলে মেষ রাশি হইবে ।  
                         ২ ( দুই )থাকিলে বৃষ রাশি হইবে ।  
                     ৩ ( তিন) থাকিলে  মিথুন রাশি 
                  ৪ ( চার ) থাকিলে কর্কট রাশি
                  ৫ (পাঁচ ) থাকিলে সিংহ  রাশি
                ৬(ছয় ) থাকিলে কন্যা রাশি
                 ৭  (সাত) থাকিলে তুলা রাশি
                  ৮ ( আট ) থাকিলে বিছা রাশি
               ৯ ( নয়) থাকিলে ধনু রাশি 
                   ১০ ( দশ)  থাকিলে মকর রাশি 
                    ১১ ( এগার ) থাকিলে কুম্ভ রাশি 
   আর যদি কোন অবশিষ্ট না থাকে  তাহলে মীন রাশি হইবে ।  
উদাহরণ স্বরুপ

 মামুন, ম=৬৫        মর্জিনা,  ম=৬৫
      ম=৬৫              জ=৩৩
       ন=৫৫              ন=৫৫  
      ১৮৫                ১৫৩

১৮৫+১৫৩=৩৩৮         ১২।৩৩৮।২৮
                        ২৪          
                         ৯
                         ৯৬
                          ২
 

উক্ত ভাগফলে  ২  (দুই) অবশিষ্ট আছে , অর্থাৎ মামুন হলো বৃষ রাশি ।

নিচের চার্টে অক্ষরের মান দেওয়া হলো :



     ا
৪৫
এ  ے
৩৫
  ی
২৫
উ          اؤ
৩৫
৭১
ক  ک
২১
  که
২২
  گ
২৩
    گھ
২৪
  اؤڽ
২৫
  چ
৩১
   چه
৩২
জ   ج
৩৩
  جھ
৩৪
ياڽ 
৩৫
  ٹ
৪১
  ٹھ
৪২
ড   ڋ
৪৩
ঢ   ڋه
৪৪
৪৫
ত   ت
৫১
থ   تھ
৫২
দ    د
৫৩
ধ   ده
৫৪
ڽ     
৫৫
প   پ
৬১
ফ    پهي
৬২
ب     
৬৩
ভ    بهي
৬৪
ম   م
৬৫
ر       
৭১
ল    ل
৭২
শ,স,ষ   ص
৭৩
হ    هي
৭৪
ক্ষ   کش
৭৫

Sunday, July 5, 2015

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গাছ, লতা - পাতা ।

বাংলায় একটি প্রবাদ আছে যে, “ চিনলে জড়ি না চিনলে জংলার খড়ি ”

 

দিন দিন বেড়েই চলছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা । পৃথিবীর সমগ্র মানব জাতির জন্য ডায়াবেটিস  একটা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে বা চিকিৎসার জন্য আমরা নির্ভর করছি রাসায়নিক বা সিন্থেটিক  ঔষধের ওপর । কিন্তু প্রচলিত সিন্থেটিক ঔষধের মাধ্যমে কোন মানুষের ডায়াবেটিস সেরে গেছে এমন কোন ঘটনা এখন পর্যন্ত আমরা শুনতে পাইনি ।
গাছ, লতা - পাতার মাধ্যমে যে বিকল্প চিকিৎসার ধারা তা ডায়াবেটিস চিকিৎসার একটা উজ্জল সম্ভাবনা বা আশার আলো দেখায় । অবহেলিত গাছ, লতাপাতায় এমন কিছু বায়োকেমিকেল খুজে পাওয়া যায়, যা ডায়াবেটিস চিকিৎসায় চমৎকার কাজ করে।
ডায়াবেটিস মেলাইটিস হল একটি হরমোনের বিপর্যয়। একজন ডায়াবেটিস রোগী তার শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না । তাই রক্তে সব সময় প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ জমা থেকেই যায়। যারা অতি মোট , স্থুলকায় এবং আয়েসি জীবনযাপন করেন তারা খুব সহজেই ডায়াবেটিসের শিকার হন। 
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে কার্যকর গাছ :
1. তুঁত : তুঁত গাছের ফল, পাতা ও শিকড়ে আছে একটি পলি স্যাকারাইড, যা রক্তে শর্কর কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় আনতে কার্যকর ভুমিকা পালন করে। বিজ্ঞানী হিকিনো ও তার সহযোগী গবেষকবৃন্দ ১৯৮৫ কিছু সংখ্যক ডায়াবেটিস ইঁদুরের ওপর তুঁত পাতা প্রয়োগ করেন এবং দেখতে পান সেই ইঁদুর গুলোর রক্তশর্করার মাত্রা কমে গেছে।
তিনি প্রমাণ করেন , তুঁত পাতার ইথাইল এসিটেট এবং এন - বিউটানল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ।
2. যব : বিজ্ঞানী শুল্কা ১৯৯১ সালে প্রমাণ করেন যে, যব ইনসুলিন এর সক্রিয়তা বাড়ায়। যবের ছাতু ডায়াবেটিস রোগীরদের জন্য একটা চমৎকার পথ্য ।
3. ভুট্রা : অনেক প্রাচিনকাল থেকেই ভুট্রার ডাঁটা ( পুষ্পদন্ড) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়ে আসছে। ফার্মাকোলজিক্যাল পরীক্ষায় রক্তের শর্কর বিপাকে কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে।
4. লিচু : লিচু বিচি চূর্ণের জলীয় নির্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর একটি  ঔষধ। ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞানী কুয়াং লিচু বিচির কার্যকারিতাকে glibenclamide  ও  phenfornmin এর সমতুল্য বলে প্রমাণ করেন।
বর্তমানে চীন দেশের ক্লিনিকগুলোতে গর্ভবতী ডায়াবেটিক মায়েদের লিচু বিচি থেকে তৈরি ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে।    ১ চামচ লিচু বিচি পাউডার একটু কাঁচা হলুদসহ আপনিও খেতে পারেন ।
5.  ডালিম : চীন দেশে ডালিমের ছাল ডায়াবেটিসের  ঔষধ হিসাবে পরিচিত। ভারতের ইউনানী চিকিৎসকগণ ডালিম ফুল ব্যবহার করেন।
6. পিয়াজ : সাধারনত সবজি ও মসলা হিসাবে পিয়াজ ব্যবহার করা হয়।  এর আছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকারী বৈশিষ্ট্য। শর্করা বিপাক বাড়িযে রক্তের শর্করা মাত্রা কমায়। রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
7. মাশরুম : মাশরুম ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী পথ্য । এতে বিদ্যমান পলিস্যাকারাইড উপাদানটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
8. মেথী : হাজার বছর  ধরে মেথিকে মানুষ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক  ঔষধ হিসাবে জেনে আসছে। এটি শরীরের বাড়তি কোলেস্টরল কমায়।
9. নয়নতার : নয়নতারা পাতার নির্যস খেলে সরাসরি রক্তশর্করা কমে যায়। সম্প্রতি পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিার দক্ষিণাঞ্চলীয় দেশসমুহের হাসপাতালগুলোতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন এর পরিবর্তে এ গাছ থেকে তৈরি ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে।
10. পদ্মফুল  : চীনদেশে ডায়াবেটিস এর লোকজ চিকিৎসায় পদ্মের শেকর ব্যবহার হয়। আধুনিক ফার্মাকোলজিক্যাল রিসার্চ এই বিষয়ে সত্যতা খুঁজে পেয়েছে। বিজ্ঞানী মুখার্জি ও তার সহযোগী গবেষকবৃন্দ ১৯৯৭ সালে গ্লুকোজ খাওয়ানো ইঁদুরের উপর এক গবেষণাকর্ম পরিচালনা করেন। তিনি পর্যবেক্ষণ করেন যে, পদ্ম শেকড় খাওয়ালে ডায়াবেটিক ইঁদুরের রক্তশর্কর বেশ কমে যায়।



অংকের ম্যাজিক

অংকের ম্যাজিক। এতদিন আমরা শুধু টাকা পয়সার হিসাব করেছি, চলুন এবার আমি আপনাদের নতুন হিসব সিখাবো । এতোদিন আমরা শুধু যোগ , বিয়োগ , গুণ ও ভাগ করেছি পরীক্ষায় পাশ করার জন্য । আজ আমরা যোগ , বিয়োগ করবো অতীত জানার জন্য । যোগ , ভাগ  করে আমরা জানবো  কে আগে মারা গিয়াছে , দাদা না দাদী ,নানা না নানী । আপনি যদি কোন অপরিচিত লোকের দাদা -দাদী কে আগে মারা গিয়াছে তা বলতে পারেন তাহলে বিষয়টা খুব মজার হবে তাই না । চলুন নিয়ম জান যাক  :
কে আগে মারা গিয়াছে দাদা না দাদী, তা জানার জন্য প্রথমে দাদা ও দাদীর নামের সংখ্যা যোগ করতে হবে। নাম সঠিক হতে হবে । যোগফলকে ২ দ্বারা ভাগ করতে হবে । ভাগ করার পর ভাগশেষ যদি   শুন্য (0)  হয় তাহলে বুঝবে দাদা আগে মার গিয়াছে , আর যদি  এক বা দুই (১ - ২ ) অবশিষ্ঠ থাকে তাহলে বুঝবে দাদী আগে মারা গিয়াছে ।
 উদাহরণ সরুপ :

1.  মোননাফ +রমিছা                                                  2. মুনির + আছিয়া
   ৪+৩=৭                                                                       ৩+৩=৬
   ৭ ÷ ২=৩                                                                      ৬ ÷২=৩
1. নং ভাগে ১ অবশিষ্ট থাকে , অর্থাৎ দাদী আগে মারা গিয়াছে। 
2. নং ভাগে 0 অবশিষ্ট থাকে , অর্থাৎ দাদা আগে মারা গিয়াছে। 





Saturday, July 4, 2015

”কত যে আপন”

 কত যে আপন
  
আপরুপ সাজে তোমায় সাজিয়েছে বিধাতা ,
পরলে নজর তোমার দিকে ভুলে যাই সকল ব্যাথা।
হরীনির মত তোমার ডাগর দুটি চোখ,
অপরুপ লাগে তোমায় হাসলে ঐ মুখ।।
মেঘ কালো কেশ তোমার চাঁদের মত হাসি,
দেখতে তোমার মুখটা যেন পুর্ণিমার শসি।
গোলাপের মত তোমার ঐ দুটি ঠোট,
পরলে নজর তোমার দিকে পরেনা পলক।।
মনে হয় সব সময় থাকি আমি চেয়ে,
অপরুপ সুন্দর তোমার রুপের দিকে,
যতই দেখি তবু কেন ভরেনা এ মন।
মনে হয় তুমি আমার কত যে আপন।।

Thursday, July 2, 2015

অংকের সাহায্যে ভাই-বোনের সংখ্যা নির্ণয়


অংকের সাহায্যে আপনি সহজেই যে কোন অপরিচিত পরিবারের ভাই-বোনের সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবেন। নিয়ম হলো, প্রথমে আপনাকে যেটা করতে হবে তা হলো:
১ ।  যেই পরিবারের ভাই-বোনের সংখ্যা নির্ণয় করবেন সেই পরিবারের বাবা- মা এর সাথে ঐ পরিবারের বোন সংখ্যা যোগ করতে হবে।
২।  যোগফলকে ২ দ্বারা গুণ করতে হবে ।
৩। গুণফলের সাথে ১ যোগ করতে হবে ।
৪। যোগফলকে ৫ দ্বারা গুণ করতে হবে ।
৫। গুণফলের সাথে ভাই সংখ্যা যোগ করতে হবে ।
৬। এবার মোট ফলাফল থেকে ২৫ বিয়োগ করতে হবে ।
বিয়োগফলের বাম পাশের সংখ্যা হবে বোন, আর ডান পাশের সংখ্যা হবে ভাই ।

উদাহরণ স্বরুপ :
                বাবা-মা ২+বোন ৪=৬
                                     ৬×২=১২
                                   ১২+১=১৩
                                      ১৩×৫=৬৫
                                 ৬৫+ভাই৫=৭০
এবার প্রাপ্ত ফলাফল থেকে ২৫  বিয়োগ করি । অথ্যাৎ   ৭০-২৫=৪৫
           ৪৫ এর বাম পশে ৪ অর্থাৎ বোন সংখ্যা ৪ , এবং ডান পাশে ৫ অর্থাৎ ভাই সংখা ৫
   ফলাফল পাওয়া গেলো ৫ ভাই ৪ বোন।

Saturday, June 27, 2015

যৌন রোগের সমাধান লজ্জাবতীর অবদান


                                           
  যৌন রোগের সমাধান লজ্জাবতীর অবদান
লজ্জাবতী লতার সমগ্র উদ্ভিদ ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এর আছে অনেক ঔষধি গুণ। ধারাবাহিক ভাবে তা আলোচনা করা হলো :
  1. মিথুন দন্ডের শৈথিল্য: লজ্জাবতীর বীজ দিয়ে তৈরি তেল লাগিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করলে তা দৃড় হয়।
  2. যৌনি ক্ষতে : যে কোন কারনে যনিপথে ক্ষত হলে, প্রথমিক স্তরে মাঝে মাঝে অথবা প্রায় রোজই অল্প স্রাব চলতে থাকে, একটা আশটে গন্ধ, কখনো বা একটু লালচে স্রাব হয়, এসব ক্ষেত্রে ‍চিকিৎসক সাবধান করে থাকেন, এটি পরিণামে ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে ।এক্ষেত্রে দুধ-জলে ‍সিদ্ধ করা লজ্জাবতীর কাথ দিনে ২ বার খেলে এ রোগ উপশম হয়। একই সাথে লজ্জাবতীর ক্বাথ দিয়ে ডুশ দিলে বা যোনিপথ ধুলে তাড়াতাড়ি ক্ষত সেরে যায়।
  3. আঁধার যোনি ক্ষতে : এ বিচিত্র রোগটি কৃষ্ণপক্ষে বেড়ে যায় আর শুক্লপক্ষে শুকাতে থাকে । এ ক্ষতটি হয় সাধারণত : হাটুর নিচে আর না হয় কুঁচকির দু’ধারে। এক্ষেত্রে গাছও পাতা ( মূল বাদে ) ১০ গ্রাম শুধু জল দিয়ে ক্বাথ করে খেতে হয় এবং ঐ ক্বাথ দিয়ে মুছতে হয়, ফলে অসুবিধা দুর হয়।
  4. রমনে অতৃপ্তি : কয়েকটি সন্তান হওয়ার পর প্রসবদ্বারের শৈথিল্য হয়েছে , সেটার অনেকটা মেরামত করে দিয়ে থাকে এ লজ্জাবতীর ক্বাথের ডুশ নেওয়ায়, আর গাছের পাতা সিদ্ধ ক্বাথ দিয়ে তৈরি তেলে ন্যাকড়া ভিজিয়ে পিচুধারণ কারালে ( Vaginal plugging ) এছাড়া অন্ডকোষের পানি জমা সারাতে পাতার পেস্ট ব্যবহার করা হয়।
  5. আমাশয় : অনেকের আছে পুরানো আমাশয় । মল ত্যাগের বেগ হলে আর অপেক্ষা করতে পারে না । গিয়ে প্রথমে যা হল তারপর আর হতে চায় না ।আবার অনেকের শক্ত মলের গায়ে সাদা সাদা আম জড়ানো থাকে। এক্ষেত্রে ১০ গ্রাম লজ্জাবতীর ডাঁটা ও পাতা ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।  এ ক্বাথ খেলে তারা অবশ্যই উপকার পাবেন।
  6. দুর্গন্ধ দুর করতে : অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয় এবং জামায় বা গেঞ্জিতে হলদে দাগ লাগে, এক্ষেত্রে লজ্জাবতী গাছের ডাঁটা ও পাতার ক্বাথ তৈরি করে বগল ও শরীর মুছতে হবে বা লাগাতে হবে। তাহলে এ অসুবিধা দুর হবে।
  7. কোষ্ঠকাঠিন্য : অনেকের মল গুলটে হয়ে যায়, বুলেটের মত কয়েকটা বের হয়, আর কিছুই নেই। এক্ষেত্রে মূল     ৭ / ৮ গ্রাম থেঁতো করে সিদ্ধ করতে হবে এবং ছেঁকে ঐ পানিটা খেতে হবে । তাহলে উপকার হবে।

Tuesday, June 16, 2015

দাড়ি কমার বিভ্রাট !


                              প্রবাসী স্বামীর কাছে অল্প শিক্ষিতা স্ত্রীর পাঠানো চিঠি ”



91
ওগো,
 সারাটা জীবন বিদেশেই কাটালে, এই ছিল তোমার কপালে আমার পা। আরো ফুলে উঠেছে উঠানটা, জলে ডুবে গেছে ঘরের চাল, স্থানে স্থানে ফুটো হয়েছে গাভির পেট, দেথে মনে হয় বাচ্চা দেবে গোয়ালা । রোজ ১সের করে দুধ দেয় রহিমের বউ । প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে করিম, সেভ করতে গিয়ে গাল কেটে ফেলেছে তোমার মা, আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছে কুকুর ছানাটা । লেজ নেড়ে থেলা করে বড় থোকা,  আর স্কুলে যেতে চায়না ছাগল ছানাটা,  ঘাস থেয়ে বেচেঁ আছে তোমার বাবা । বারবার ফিট হয়ে যাইতেছে ডাক্তার, আসিয়া দেথিয়া গিয়াছে অনেকে, বলতেছে এই অবস্থায় তোমাকে অবশ্যই বাড়ীতে আসিতে হইবে না । আসিলে আমি থুব রাগ করিব ।      
                                                                                                                              ইতি
                                                                                                                         তোমার বউ

Monday, June 15, 2015

নাম ”জোড়া” রাখার কারণ

নাম জোড়া মাদ্রাসা, স্থাপিত ১৯১০ ইং। কথিত আছে যে, নাজমুল হক নামের কোন এক পির সাহেব এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নামানুসারে এই মাদ্রাসাটির নামকরণ করা হয় জোড়া নাজমুল উলুম কামিল মাস্টার্স মাদ্রসা।
জন্মের পূর্ব কথা জানিনা, তবে আমার বুদ্দি  বয়সে দেথেছি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ছাত্র এখানে লেখা-পড়া করতে আসতো । লেখা-পড়া শেষ করে কেউবা চলে গেছে চাকরি করতে কেউবা রয়ে গেছে এথানেই ঘর জামাই হয়ে। অদ্যবদি একই নিয়ম হয়ে আসছে । মোট কথা, যেই এখানে পড়তে আসে সে আসে একা , আর যাওয়ার সময় হয় দুইজন , আথবা দুইজনই এখানে সংসার করে, এটাই জোড়ার কৃতিত্ব , এটাই জোড়ার ইতিহাস । ছবি দেখে এটা মনে করবেন না যে, এটা মাদ্রসার ইতিহাস । আসলে গ্রামের নাম জোড়া,  আর এই জোড়া গ্রামে যত মানুষ আসে সবাই এই গ্রামকে নিজেদের গ্রামের মত ভাবে। আর প্রতিটি পরিবারকে নিজেদের পরিবার মনে করে । তাইতো যারাই এখানে আসে তারা ভুলতে পারেনা এই গ্রামকে, ভুলতে পারেনা এই গ্রামের সকল পরিবারকে। এই জন্যই তারা তাদের পছন্দের পরিবারের সাথে চিরদিনের সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এটা জোড়া গ্রামের ইতিহাস , জোড়া মাদ্রসার নয়। এই মাদ্রাসা হচ্ছে তাদের চরিত্র গঠনের বাহন এবং সম্পর্ক গড়ার মাধ্যম। কেননা এই মাদ্রাসা না থাকলে তারা এথানে পড়তে আসতো না, তাদের সম্পর্কও গড়ে উঠতো না ।
বিস্তারিত জানতে নিয়মিত ভিজিট করুণ ।