Saturday, June 27, 2015

যৌন রোগের সমাধান লজ্জাবতীর অবদান


                                           
  যৌন রোগের সমাধান লজ্জাবতীর অবদান
লজ্জাবতী লতার সমগ্র উদ্ভিদ ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এর আছে অনেক ঔষধি গুণ। ধারাবাহিক ভাবে তা আলোচনা করা হলো :
  1. মিথুন দন্ডের শৈথিল্য: লজ্জাবতীর বীজ দিয়ে তৈরি তেল লাগিয়ে আস্তে আস্তে মালিশ করলে তা দৃড় হয়।
  2. যৌনি ক্ষতে : যে কোন কারনে যনিপথে ক্ষত হলে, প্রথমিক স্তরে মাঝে মাঝে অথবা প্রায় রোজই অল্প স্রাব চলতে থাকে, একটা আশটে গন্ধ, কখনো বা একটু লালচে স্রাব হয়, এসব ক্ষেত্রে ‍চিকিৎসক সাবধান করে থাকেন, এটি পরিণামে ক্যান্সার হয়ে যেতে পারে ।এক্ষেত্রে দুধ-জলে ‍সিদ্ধ করা লজ্জাবতীর কাথ দিনে ২ বার খেলে এ রোগ উপশম হয়। একই সাথে লজ্জাবতীর ক্বাথ দিয়ে ডুশ দিলে বা যোনিপথ ধুলে তাড়াতাড়ি ক্ষত সেরে যায়।
  3. আঁধার যোনি ক্ষতে : এ বিচিত্র রোগটি কৃষ্ণপক্ষে বেড়ে যায় আর শুক্লপক্ষে শুকাতে থাকে । এ ক্ষতটি হয় সাধারণত : হাটুর নিচে আর না হয় কুঁচকির দু’ধারে। এক্ষেত্রে গাছও পাতা ( মূল বাদে ) ১০ গ্রাম শুধু জল দিয়ে ক্বাথ করে খেতে হয় এবং ঐ ক্বাথ দিয়ে মুছতে হয়, ফলে অসুবিধা দুর হয়।
  4. রমনে অতৃপ্তি : কয়েকটি সন্তান হওয়ার পর প্রসবদ্বারের শৈথিল্য হয়েছে , সেটার অনেকটা মেরামত করে দিয়ে থাকে এ লজ্জাবতীর ক্বাথের ডুশ নেওয়ায়, আর গাছের পাতা সিদ্ধ ক্বাথ দিয়ে তৈরি তেলে ন্যাকড়া ভিজিয়ে পিচুধারণ কারালে ( Vaginal plugging ) এছাড়া অন্ডকোষের পানি জমা সারাতে পাতার পেস্ট ব্যবহার করা হয়।
  5. আমাশয় : অনেকের আছে পুরানো আমাশয় । মল ত্যাগের বেগ হলে আর অপেক্ষা করতে পারে না । গিয়ে প্রথমে যা হল তারপর আর হতে চায় না ।আবার অনেকের শক্ত মলের গায়ে সাদা সাদা আম জড়ানো থাকে। এক্ষেত্রে ১০ গ্রাম লজ্জাবতীর ডাঁটা ও পাতা ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।  এ ক্বাথ খেলে তারা অবশ্যই উপকার পাবেন।
  6. দুর্গন্ধ দুর করতে : অনেকের ঘামে দুর্গন্ধ হয় এবং জামায় বা গেঞ্জিতে হলদে দাগ লাগে, এক্ষেত্রে লজ্জাবতী গাছের ডাঁটা ও পাতার ক্বাথ তৈরি করে বগল ও শরীর মুছতে হবে বা লাগাতে হবে। তাহলে এ অসুবিধা দুর হবে।
  7. কোষ্ঠকাঠিন্য : অনেকের মল গুলটে হয়ে যায়, বুলেটের মত কয়েকটা বের হয়, আর কিছুই নেই। এক্ষেত্রে মূল     ৭ / ৮ গ্রাম থেঁতো করে সিদ্ধ করতে হবে এবং ছেঁকে ঐ পানিটা খেতে হবে । তাহলে উপকার হবে।

Tuesday, June 16, 2015

দাড়ি কমার বিভ্রাট !


                              প্রবাসী স্বামীর কাছে অল্প শিক্ষিতা স্ত্রীর পাঠানো চিঠি ”



91
ওগো,
 সারাটা জীবন বিদেশেই কাটালে, এই ছিল তোমার কপালে আমার পা। আরো ফুলে উঠেছে উঠানটা, জলে ডুবে গেছে ঘরের চাল, স্থানে স্থানে ফুটো হয়েছে গাভির পেট, দেথে মনে হয় বাচ্চা দেবে গোয়ালা । রোজ ১সের করে দুধ দেয় রহিমের বউ । প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে করিম, সেভ করতে গিয়ে গাল কেটে ফেলেছে তোমার মা, আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছে কুকুর ছানাটা । লেজ নেড়ে থেলা করে বড় থোকা,  আর স্কুলে যেতে চায়না ছাগল ছানাটা,  ঘাস থেয়ে বেচেঁ আছে তোমার বাবা । বারবার ফিট হয়ে যাইতেছে ডাক্তার, আসিয়া দেথিয়া গিয়াছে অনেকে, বলতেছে এই অবস্থায় তোমাকে অবশ্যই বাড়ীতে আসিতে হইবে না । আসিলে আমি থুব রাগ করিব ।      
                                                                                                                              ইতি
                                                                                                                         তোমার বউ

Monday, June 15, 2015

নাম ”জোড়া” রাখার কারণ

নাম জোড়া মাদ্রাসা, স্থাপিত ১৯১০ ইং। কথিত আছে যে, নাজমুল হক নামের কোন এক পির সাহেব এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নামানুসারে এই মাদ্রাসাটির নামকরণ করা হয় জোড়া নাজমুল উলুম কামিল মাস্টার্স মাদ্রসা।
জন্মের পূর্ব কথা জানিনা, তবে আমার বুদ্দি  বয়সে দেথেছি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ছাত্র এখানে লেখা-পড়া করতে আসতো । লেখা-পড়া শেষ করে কেউবা চলে গেছে চাকরি করতে কেউবা রয়ে গেছে এথানেই ঘর জামাই হয়ে। অদ্যবদি একই নিয়ম হয়ে আসছে । মোট কথা, যেই এখানে পড়তে আসে সে আসে একা , আর যাওয়ার সময় হয় দুইজন , আথবা দুইজনই এখানে সংসার করে, এটাই জোড়ার কৃতিত্ব , এটাই জোড়ার ইতিহাস । ছবি দেখে এটা মনে করবেন না যে, এটা মাদ্রসার ইতিহাস । আসলে গ্রামের নাম জোড়া,  আর এই জোড়া গ্রামে যত মানুষ আসে সবাই এই গ্রামকে নিজেদের গ্রামের মত ভাবে। আর প্রতিটি পরিবারকে নিজেদের পরিবার মনে করে । তাইতো যারাই এখানে আসে তারা ভুলতে পারেনা এই গ্রামকে, ভুলতে পারেনা এই গ্রামের সকল পরিবারকে। এই জন্যই তারা তাদের পছন্দের পরিবারের সাথে চিরদিনের সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এটা জোড়া গ্রামের ইতিহাস , জোড়া মাদ্রসার নয়। এই মাদ্রাসা হচ্ছে তাদের চরিত্র গঠনের বাহন এবং সম্পর্ক গড়ার মাধ্যম। কেননা এই মাদ্রাসা না থাকলে তারা এথানে পড়তে আসতো না, তাদের সম্পর্কও গড়ে উঠতো না ।
বিস্তারিত জানতে নিয়মিত ভিজিট করুণ ।